সোমবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার লার্ভা/প্রজননস্থল শনাক্তকরণ ও ধ্বংসকরণে পক্ষকালব্যাপী বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা বলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, গত বছর চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব ছিল, এবার নেই। তবে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। সেটা আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে নেই।
তিনি নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনার বাসা-বাড়ির পরিত্যাক্ত টায়ার, ফুলের টব, এসির আউটারে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন। কোনো জায়গায় পাঁচ দিনের বেশি পানি জমতে দেবেন না। কেননা পাঁচ দিনের বেশি পানি জমে থাকলে এডিস মশার বংশ বিস্তারের সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনার একটু সচেতনতা আপনার প্রিয়জনের জীবনকে রক্ষা করতে পারবে।’
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আজ থেকে আমাদের ৫৭টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হবে। আমাদের প্রতিনিধিরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পেলে তা ধ্বংস করে দিয়ে আসবে। পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করবে। আমাদের সাথে পাশের সিটি করপোরেশনকেও ডেঙ্গুবিরোধী অভিযান চালানোর আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ মশার কোনো স্থান নেই। এক জায়গার মশা আরেক জায়গায় চলে যায়।’
তিনি বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুতই একটি ডেঙ্গুমুক্ত শহর উপহার দেবো। এজন্য নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
বক্তব্য শেষে মেয়র নির্মাণাধীন নৌ বাহিনীর তথ্যকেন্দ্র ভবনে ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করে বিশেষ এ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন।
তিনি শিক্ষার্থী ও দোকানীদের হাতে লিফলেট বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাহউদ্দীন, কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কাজল, হাসিবুর রহমান মানিকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।